শীতকালে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে কিংবা দ্বিতীয় ঢেউ হতে পারে। এমন কথা গত কয়েকদিন থেকে প্রায় মহলে উচ্চারিত হচ্ছে। তবে ভিন্ন কথা শোনালেন করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা দেশের দুই বিজ্ঞানী।
ড. বিজন শীল ও ড. সমীর কুমার সাহা বলছেন, শীতে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা খুবই কম। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আন্টিবডি বা ইমিউনিটি বাড়ার কারণে ইউরোপ বা আমেরিকার মত সংক্রমণ হবে না বলে জানাচ্ছেন এই দুই বিজ্ঞানী।
মরণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারী ইউরোপ-আমেরিকায় তান্ডব চালিয়েছে। বর্তমানে ইউরোপের অনেক দেশেই করোনা সংক্রমণের হার কমে আসার পরে আবার বাড়তে শুরু করেছে। যাকে বলা হচ্ছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ।
বাংলাদেশেও আসছে শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বা সেকেন্ড ওয়েভ আসতে পারে এমন কথা গত কয়েকদিন ধরে দেশে আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাডভাইজারি কমিটি এবং জনস্বাস্থ্যবিদরা শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
নিউজ টোয়েন্টিফোর করোনা নিয়ে গবেষণা করা অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহার কাছে জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ কেমন?
ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসেনি। এবং সবমিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমে এসেছে। অন্যান্য দেশে যে ভাবে করোনা বিস্তার লাভ করেছে সেদিক থেকে আমাদের অবস্থান এখনও ভাল। অন্যান্য দেশের মতো পরিস্থিতি আমাদের হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই অণুজীব বিজ্ঞানী
অনুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলছেন, দেশে যে ভাবে এখনও ভাইরাস ছড়াচ্ছে তাতে করে শীতের আগেই সব মানুষের মধ্যে আন্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। ফলে করোনা শীতে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। এছাড়াও বাংলাদেশি মানুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় করোনা প্রতিরোধে সক্ষম হচ্ছে মানুষ।
তবে এই দুই বিজ্ঞানী বলছেন, করোনা নিয়ে সব ধরণের প্রস্তুতি সরকারকে রাখতে হবে। একইসঙ্গে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে না দিয়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।